বছরের প্রথম দিনে নাটোরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের দুই হাজার ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চার লাখ তিন হাজার শিক্ষার্থীর হাতে বই উৎসবের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৮ হাজার নতুন পাঠ্য বই। আজ বুধবার দুপুরে নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের নতুন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন নাটোর ও নওগাঁ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ। নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে বই উৎসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ,জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এরশাদ উদ্দিন আহমেদ, নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন ও নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দিল মাহমুদা প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকার প্রতিবছর এক সাথে সব নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। দেশের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত। শিক্ষার্থীরা যথাযথভাবে পড়াশুনা করে যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠলে সরকারের এই উদ্যোগ সফল হবে। এছাড়াও জেলার সাতটি উপজেলা পর্যায়েও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে অনুরুপ বই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে সমাবেশের মাধ্যমে বই উৎসব আয়োজন করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৭টি উপজেলায় বিভিন্ন পর্যায়ের মোট এক হাজার ৫১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীর জন্য প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্য বইয়ের চাহিদা আট লাখ ৯৫ হাজার ৫০ কপি। চাহিদার শতভাগ বই ঢাকা থেকে জেলার সকল উপজেলা পর্যায়ে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে পৌঁছে যায়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে মধ্য ডিসেম্বরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা তাদের প্রতিনিধিদের নিকট চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্য বই বিতরণ কার্যক্রম শেষ করা হয়। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মাদ্রাসা, কারিগরিসহ মোট ৪৯৬টি মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে ইবতেদায়ী প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী এবং ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই লাখ তের হাজার ৩৯০ জন। এসব শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুযায়ী ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৫ কপি পাঠ্য বইয়ের সমূদয় বই অনেক আগেই ঢাকা থেকে নাটোরে পৌঁছে যায়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে সংশ্লি¬ষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধানের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়। ভোকেশনাল পর্যায়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পাঠ্য বই জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রমও শেষ হয়।