নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া উত্তরা বালিকা বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ভাপা, পুলি, কুশলী, চিতই,পদ্মফুল,মৎস্য,খেজুর পিঠা,পাটিশাপটা,সিরিঞ্জ,শামুকপিঠা,গোলাপসহ শতাধিক পিঠা স্থান পায় এই উৎসবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর ও নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ এমপি। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসৌরা বেগম কাকলী জানান,সোমবার সকাল থেকে বিদ্যালয় চত্বরে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। মোট ১২টি দলে প্রায় ১০০ ছাত্রী এই পিঠা উৎসবে অংশ নেন। পিঠাগুলো পর্যবেক্ষণ,স্বাদ গ্রহণ ও বিচার-বিশ্লেষণ করেন নির্ধারিত বিচারক নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি এবিএম মোস্তফা খোকন, সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী লাহিড়ী,নওপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা ইয়াসমিন ও নারী নেত্রী প্রভাতী বসাক। এসময় প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিও পিঠাগুলো পর্যবেক্ষণ ও স্বাদ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে তিনটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা ও অন্যান্য দলকে অংশগ্রহণকারী পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথি। এ সময় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে গান পরিবেশন করেন বিদ্যালয়ের সঙ্গিত শিক্ষক আব্দুল লতিফ খাঁন খোকা। এর আগে পিঠা উৎসব উপলক্ষ্যে একই স্থানে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সন্তোষ সান্যালের সভাপতিত্বে এমপি রত্না আহমেদসহ অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রত্না আহমেদ জানান,মুজিববর্ষের এই ক্ষণে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের সাথে পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে বাংলার চিরায়ত পিঠার। বিশ্ববন্ধু ও বঙ্গবন্ধু,জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শিক্ষার পাশাপাশি বাংলার চিরায়ত পিঠা তৈরীসহ মানবিক মূল্যবোধে উজ্জিবিত হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকের ছাত্রীরাই আগামী দিনের নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার নারীদের ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ছাত্রীদের পড়ালেখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহযোগীতা সরকার করছেন। এক্ষেত্রে বেসরকারী ও ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্টিত প্রতিষ্ঠানেও প্রয়োজনীয় সম্ভাব্য সকল সহযোগীতা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভাল পড়ালেখার পাশাপাশি ভাল মানুষ হিসেবে নিজকে গড়ে তুলতে সকল ছাত্রীদের আহ্বান জানান।