নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানায় গ্রেফতারকৃতদের মাঝে মাইশা ইসলাম নামের এক নারী সদস্যের বাড়ী নাটোর সদর উপজেলার পাবনাপাড়া চাঁদপুর এলাকায়। মাইশা ইসলামের বাবা সাইদুল ইসলাম দুলাল ও চাচা ফজলুর রহমান দুইজনই জেএমবির সক্রিয় সদস্য হিসেবে ২ বছর আগে নাটোরের এই বাড়ী থেকে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক সহ বগুড়া ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো তাদের।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন,’ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে একটি নতুন জঙ্গি দলের সন্ধ্যান পায় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। এরপর সেখানে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। সেখানে গ্রেফতারকৃত জঙ্গি সদস্য মাইশা ইসলাম নাটোর সদর উপজেলার পাবনাপাড়া চাঁদপুর মহল্লার সাইদুল ইসলাম দুলালের মেয়ে। জেএমবির সক্রিয় সদস্য মাইশার বাবা ও চাচাকে বিপুল বিপুল পরিমান বিস্ফোরক সহ গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এরপর মাইশার বাবা সাইদুল ইসলাম আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হলেও মাইশার চাচা ফজলুর রহমান কারাগারে রয়েছে। বর্তমানে মাইশার নাটোরের বাড়ীতে কারো কোন উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছেনা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২ মাস আগে স্থানীয় মসজিদে সোহেল তানজীম রানা নামে একজনের সাথে মাইশার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মাইশার স্বামী সোহল তানজীম রানাকে ঢাকার একজন বিষেশজ্ঞ ডাক্তার হিসাবে পরিচয় দেয়। বিয়ের পর থেকে তাদের পরিবারের আর কোন সদস্যদের দেখা যায়নি এলাকায়। মৌলভীবাজারে মাইশা গ্রেফতার হওয়ায় সংবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে এলাকাবাসী।
মাইশার পরিবারের উপর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।