নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে ধর্ষণসহ পৃথক দুটি মামলায় সুজন রানা নামে একজনকে ১০ বছরের আটকাদেশসহ কালাম নামের অপর আরেকজনের তিন বছরের কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আআদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক। এ সময় এই মামলা থেকে দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। বাগাতিপাড়ার একটি মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত সুজন রানা কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর চরপাড়া এলাকার আনারুল ইসলামের ছেলে এবং কালাম নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীপুর এলাকার রুপচান মাস্টারের ছেলে। খালাস প্রাপ্তরা বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাগুয়াদিয়ার গ্রামের আমীর আলীর ছেলে মাহমুদুল হাসান ও একই উপজেলার বড়পুকুরিয়া গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে সুজন।
নাটোর জজ আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাগাতিপাড়ার উপজেলার পেড়াবাড়িয়া গ্রামে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতে প্রেমের ছলে মোবাইল ফোনে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে ডেকে নিয়ে পার্শের আম বাগানে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় সুজন রানা। এ ঘটনায় সহযোগিতা করেন তার বন্ধু মাহমুদুল হাসান (১৭) ও সুজন (১৭)। ঘটনায় পরের দিন ভুক্তভোগী নারী নিজে বাদি হয়ে সুজন রানাকে প্রধান করে মাহমুদুল হাসান ও সুজনকে আসামী করে বাগাতিপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার সুজন রানাকে দোষি সাব্যস্ত হওয়ায় ১০ বছর আটক আদেশ দেন। রায় ঘোষনার সময় সুজন রানা পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। সেই সাথে দোষি সাব্যস্ত না হওয়ায় মাহমুদুল হাসান ও সুজনকে খালাস প্রদান করেন বিচারক। অপরদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলায় ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারী সকালে মৌখাড়া কাঠালতলা এলাকায় পাকা রাস্তার ওপর ভিকটিমের সামনে অশ্লীল আচরণ করে কালাম। পরে গোপনে তোলা ভিকটিমের নগ্ন ছবি দেখিয়ে তার চরিত্রের ব্যঘাত ঘটানোর হুমকী দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় একই বছরের ৩ মার্চ ভূক্তভোগি নারী নিজে বাদি হয়ে কালামকে আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কালামকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালতের বিচারক।