নাটোরে এক নারী সহ বিকাশ প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ এক লাখ টাকা ও একটি সিএনজি গাড়ী উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুরে সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ সব তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের,অতিরিক্ত পুলিশ পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার) মীর আসাদুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম,ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, রাজশাহীর হলিদাগাছি গ্রামের জনৈক মামুনুর রহমান বাবুর স্ত্রী শরিফা আক্তার সাথীর সাথে চাঁদপুর জেলার রাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের সাথে বাসের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে তোলে শরিফা আক্তার সাথী। গত ১৫ জুলাই ঐ ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে নাটোরের ফুলস্বর গ্রামের আবুল হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় সাথী জোর করে অসামাজিক কার্যক্রমের ছবি ধারণ করে মিজানুর রহমানকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে। পরে প্রাণনাশের হুমকি ও ধারণকৃত ছবি ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে নগদ দশ হাজার টাকা কেড়ে নেয় এবং বিকাশের মাধ্যমে আরো দুই লাখ টাকা আদায় করে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। এরপর সিএনজি যোগে মিজানুর রহমানকে নাটোরের আহম্মপুর এলাকায় নামিয়ে দেয় তারা।
এ ঘটনায় মিজানুর রহমান নাটোর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে। অভিযানকালে আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে একটি সিএনজিসহ নগদ এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা রাজশাহীর হলিদাগাছি গ্রামের জনৈক মামুনুর রহমান বাবুর স্ত্রী শরিফা আক্তার সাথী, নাটোর সদর উপজেলার ফুলস্বর গ্রামের আফেল উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন (৩২), বিকাশ এজেন্ট নাটোর সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন (২৮) ও অর্জুনপুর গ্রামের মৃত হামিদ আলীর ছেলে হোসেন আলী (৪০) এবং সিএনজি চালক রাজশাহীর চারঘাট থানার গাঁ শিবপুর গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ নজু (৩৫)।