নাটোরে পৃথক দুইটি মাদক মামলায় ৬ যুবককে আট বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদয়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডেরর আদেশ দিয়েছে আদালত। এ সময় একজনকে খালাস দেন বিচারক। আজ বুধবার বেলা ১২ দিকে নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শরীফ উদ্দিন এ রায় ঘোষনা করেন
দন্ডপ্রাপ্তরা হল, পাবনা ঈশ্বরদীর গড়গড়ি এলাকার এসকান আলী মোল্লার ছেলে ছানা আলী মোল্লা , আওতাপাড়া এলাকার আজমল হক বিশ্বাসের ছেলে সাগর বিশ্বাস অরফে তৌহিদ,চরগড়গড়ি পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান শাহের ছেলে আব্দুর রহমান শাহ এবং গড়গড়ি এলাকার আব্দুর রশীদ প্রামানিকের ছেলে শাকিল প্রামানিক, কুমিল্লার দেবীদ্বারের সাইচাপাড়া আব্দুল আলিমের ছেলে আলাউদ্দিন এবং কুমিল্লার ব্রাম্ভনপাড়া এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে হৃদয় হোসেন। খালাসপ্রাপ্ত যুবক পাবনার ঈশ্বরদী থানার দীঘা বলফিন্ড এলাকার আনছার আলী ছেলে রুবেল হোসেন। মামলার ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত সাগর বিশ্বাস অরফে তৌহিদ এবং খালাসপ্রাপ্ত আসামী রুবেল হোসেন ছাড়া বাকী দন্ডপ্রাপ্তরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলো। নাটোর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ২০২০ সালের ২১ মে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড়ের জনতা ব্যাংকের সামনে কুড়িগ্রাম থেকে পাবনাগামী একটি হলুদ-নীল রংয়ের ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে পলিথিনে মোড়ানো ৯টি প্যাকেট থেকে ৫৫ কেজি গাঁজা সহ ট্রাকের চালক ও চালকের হেলপারসহ চারজনকে আটক করে, র্যাব- ৫ সিপিসি ২ নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা।উদ্ধারকৃত গাঁজার বাজার মূল্য প্রায় ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে নাটোর সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আত্মগোপন করে তারা।
অপরদিকে ২০২১ সালের ৫ জুলাই নাটোর শহরের ভবানীগঞ্জ এলাকায় সরকারী গণগ্রন্থাগারের সামনে বগুড়া থেকে নাটোর শহরমুখি একটি পিকআপে তল্লাশী চালিয়ে ৩৯ টি প্যাকেট থেকে ৩৯ কেজি গাঁজা সহ তিনজনকে আটক করে র্যাব- ৫ সিপিসি ২ নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহন শেষে পথক দু্টি মামলায় আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষনা করেন।