নিজস্ব প্রতিবেদক:
বোরখা পরে নারী বেশে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য মামুন আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল
বুধবার দিবাগত রাতে ছিনতাইয়ের প্রস্ততিকালে শহরের বনবেলঘড়িয়া বাইপাস এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু ও রডের পাইপ উদ্ধার করা হয়। তবে মামুনের সাহযোগি রনি হোসেন নামের এক যুবক পুলিশের উপস্থিতিতে টের পেয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত মামুন আলী ওই এলাকার মৃত বাহার আলীর ছেলে। মামুনের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় ছিনতাই ও চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সদর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যেমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
সহকারি উপ-পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন জানান, বৃহষ্পতিবার রাত ২টার দিকে পুলিশের একটি টহল টিম নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের মহিলা কলেজ গেইট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় কলেজের সামনে রাস্তায় বোরখা পরিহিত এক নারীকে একজন মোটরসাইকেল আরোহীর সাথে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সেখানে গেলে মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে যায়। সে সময় বোরখা পড়া মুখ ঢাকা ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কন্ঠস্বর শুনে পুলিশের সন্দেহ হয়। তখন বোরখার মুখ খুলতে বললে তিনি তর্ক শুরু করেন। হঠাৎ পায়ের জুতা দেখে পুলিশ বুঝতে পারে তিনি নারী নন পুরুষ। তখন পুলিশ বোরখার মুখ খুলে দেখেন বোরখা পরে আছেন স্থানীয় ছিনতাইকারী মামুন। পরে তার শরীর তল্লাশী করে একটি ধারালো চাকু ও রডের পাইপ উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।অভিনব এ ছিনতাইকাজে জড়িত পুরো চক্রকে ধরতে অভিযান শুরু করছে পুলিশ।