নাটোরে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নাটোরের ইতিহাসে ভার্চুয়াল আদালতের প্রথম জামিন পাওয়ার ঘটনা এটাই। জামিন পাওয়া ব্যক্তি হলেন, সরকারী কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে মামলায় গ্রেফতার করা নাটোরের লালপুর উপজেলার মধুবাড়ি গ্রামের সানাউল্লাহ বাকীর ছেলে মোঃ হামজা। এছাড়াও আরো ১১জন ব্যক্তি এভাবেই জামিন পেয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার নাটোরের লালপুর আমলী আদালতের বিচারক ভিডিও কনফারেন্সে শুনানীর মাধ্যমে মোঃ হামজা নামে এক ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করেন। একে পুলিশের ওপর হামলার মামলা অপরদিকে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে জামিন পাওয়ার ঘটনায় এলাকায় হামজাকে নিয়ে সোরগোল শুরু হয়েছে। মামলায় আসামী পক্ষের জামিন শুনানী করেন নাটোর জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ফারহানা পারভীন। হামজার মামলায় লালপুর আমলী আদালতের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সুলতান মাহমুদ। হামজার পরিবরের সদস্যরা ও মামলা সুত্রে জানা যায়, নাটোরের লালপুর উপজেলার মধুবাড়ি গ্রামের সানাউল্লাহ বাকীর ছেলে মোঃ হামজা ঢাকায় একটি বেসরকারী কোম্পানীতে কর্মরত। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সে ঢাকা থেকে লালপুরে বাড়িতে আসে। গত ৮ এপ্্িরল লালপুরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে লালপুরের গোপালপুরে কর্মরত পুলিশের উপর কিছু ব্যক্তি চড়াও হয়। এ সময় সরকারী কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে পুলিশ হামজাকে গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করে ঐদিনই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। এ সময় হামজার পক্ষে আদালত জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে হামজাকে কারাগারে পাঠায়। আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ফারহানা পারভীন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনে তার মক্কেল মোঃ হামজার জামিন শুনানীর জন্যে অনলাইনে আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে সংশ্লিষ্ট জিআর মামলা নম্বর ১৫৭/ ২০২০ এর শুনানী শেষে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে লালপুর আমলী আদালতের বিচারক সুলতান মাহমুদ জামিন মঞ্জুর করেন।
নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মালেক শেখ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম ফারুককে উদ্বৃত করে নাটোরের ভার্চুয়াল আদালতে মোঃ হামজার প্রথম জামিন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়া পরবর্ত্তীতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমান সরদার সাতটি এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম ফারুক এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক এমদাদুল হকের আদালতে দুইটি করে জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়।