নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি ইট ভাটা শ্রমিক রাম বসাককে পায়ে শিকল দিয়ে বেধে তিন দিন ধরে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ওই ভাটা থেকে রাম বসাককে উদ্ধার করে। রাম বসাক সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালি গ্রামের ছুটু বসাকের ছেলে। আজ শনিবার সকালে রাম বসাকের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুরে ভাটা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
নির্যাতিত শ্রমিক রাম বসাকের পিতা ছুটু বসাক অভিযোগ করেন বলেন , মেসার্স এএসবি বিক্সস নামের ইটভাটার মালিক আব্দুর রহিম মোল্লা তার ভাটায় কাজ করার জন্য বর্ষা মৌওসুমে রাম বসাক নামে এক শ্রমিক সহ আরো কয়েকজন শ্রমিককে অগ্রীম টাকা প্রদান করেন। সেই টাকাগুলো গ্রহন করে ইট ভাটা শ্রমিকের সর্দার সিরাজুল ইসলাম। সেখান থেকে রাম বসাককে দেওয়া হয় ১৫ হাজার টাকা। এরপর গত ৪ মাস আগে রাম বসাক ইট ভাটায় কাজ করে সেই টাকা পরিশোধ করে দেয়। কিন্তু শ্রমিক সর্দার কয়েকজন শ্রমিককে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ইটভাটা মালিক শ্রমিক সর্দার সিরাজুল ইসলামকে না পেয়ে রাম বসাককে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে এসে ভাটার একটি কক্ষে আটকে রাখেএবং নির্যাতন চালানো হয়। টাকা পরিশোধ করা হলেও ছেলেকে তিন দিন ধরে শিকলে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়েছে। তিনি এর সঠিক বিচার দাবী করেন।
নির্যাতনের শিকার শ্রমিক রাম বসাক জানান ,তাকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে এসে ভাটা মালিক নেতা আব্দুর রহিম মোল্লার ছেলে আলমগীর মোল্লা ও তার ভাতিজা ছাবলু । এর পর প্রথমে যৌথভাবে তারা বিভিন্ন নির্যাতন চালিয়েছেন। এমনকি মারধর করতে করতে মাটির মধ্যে মুখ খুসে ধরেছে। পরে তারা ভাটার একটি গোপন কক্ষে তিনদিন ধরে শিকলবন্দী করে রাখে তাকে। এরপার প্রতিদিনই মারধরসহ বিভিন্ন নির্যাতন চালিয়েছে তারা।
মেসার্স এএসবি বিক্সসের স্বত্বাধীকারি আব্দুর রহিম মোল্লা দাবি করেন তার ভাটায় কাজ করার জন্য শ্রমিক সর্দার সিরাজুল ইসলাম অগ্রিম ১৫ লাখ টাকা নিয়ে ছিলেন। এরমধ্য শ্রমিকের কাজ করার মাধ্যমে ৯ লাখ টাকা পরিশোধ করে পালিয়েছেন। তবে যাকে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে তিনি শ্রমিক হলেও সর্দারকে ধরতেই তাকে আটকে রাখা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি বিষয়ে রাম বসাকের পিতা থানায় অভিযোগ করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে রাম বসাককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।