নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ টিকা দিতে এসে চুরি যাওয়া দুই মাসের কন্যাশিশু তাইয়্যেবাকে ৭ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গুরুদাসপুর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। অভাবের কারণে নিজের সন্তানকে দত্তক দিয়ে স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে অন্যের সন্তান চুরি করে শাকিলা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান- পাশ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার তিরোইল গ্রামের ট্রাক চালক সাইদুল ইসলামের স্ত্রী শাকিলা বেগম গুরুদাসপুর উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই শিশুটি চুরি করেন। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পাওয়া তথ্য এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশ, ডিএসবি, ডিবি এবং পুলিশের স্পেশাল টীমের সমন্বয়ে ৭দিন ব্যাপি পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নাটোর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। একপর্যায়ে বুধবার গভীর রাতে পুলিশ বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর এলাকা থেকে শাকিলাকে গ্রপ্তার করে। এসময় শিশু তাইয়েবাকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
অভিযুক্ত শাকিলার দষ্টামূলক শা¯ি দাবি করছন শিশু তাইবার মা শিমা বগম ও বাবা তফিজ উদ্দিন।
শাকিলা বলেন- ট্রাক চালক সাইদুল তার দ্বিতীয় স্বামী। মাস দুয়েক আগে তারও একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সে সময় স্বামী তাকে ভরণপোষণ না দেওয়ায় অভাবী শাকিলা নিঃসন্তান একটি এনজিও পরিবারে শিশুটিকে দত্তক দেন। কিছুদিন পর স্বামী সাইদুল দত্তক দেওয়া সন্তানকে ফিরে পেতে তার ওপর নির্যাতন শুরু করতে থাকে। একারণ তিনি যে কোনভাবেই একটি শিশু সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেন। তারই প্রেক্ষিতে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কৌশলে শিশু তাইয়্যেবাকে চুরি করেন।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন- উপজেলার মশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামের তফিজ উদ্দিনের স্ত্রী শিমা বেগমর দুই মাসের শিশু তাইয়্যেবা ২৩ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে চুরি হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা তফিজ উদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করলে তারা ৭ দিন পর বুধবার রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত শাকিলাকে বৃহস্পতিবার নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানা হয়েছে।