ডেস্ক নিউজ
শমসের মবিন চৌধুরী, মোসাদ্দেক আলী ফালু, ইনাম আহমেদ চৌধুরীর পর বিএনপি ছাড়লেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান। জানা গেছে, আরও অন্তত ৫-৭ জন সিনিয়র নেতা বিএনপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাদের অন্তত ৫ জনই দলে ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, পদত্যাগমুখী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। এছাড়া আরেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান দলে স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ না পেয়ে হাইকমান্ডের ওপর ক্ষুব্ধ আছেন। তিনিও পদত্যাগ করতে পারেন বলে গুঞ্জন চাউর হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন রাজনীতি করলেও দলে তাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। কেননা, দীর্ঘদিন ধরে দল পরিচালনায় স্থায়ী কমিটির নেতা ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাও হয় না। যদিও স্থায়ী কমিটির পর ভাইস চেয়ারম্যানরাই বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপির দুই ভাইস চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ বিষয়ে বলেন, দলের কোনো সিদ্ধান্তই জানতে পারি না। প্রতিদিন শুনতে পাই নয়াপল্টনে স্কাইপে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে ডেকে ডেকে কথা বলেন। কী বলেন, তাও জানি না। দলে আছি কী নেই তাও জানি না।
পদত্যাগের বিষয়টি স্পষ্ট না করলেও এ বিষয়ে আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দলের মধ্যে যে ক্ষোভ বিরাজ করছে তার ফলে পদত্যাগের প্রবণতা বাড়তে পারে। তিনি বলেন, নেতাদের এই ক্ষোভ দূর করতে হবে।
বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি এক মামলা থেকে জামিনেও মুক্ত হন। এরপর তিনি অভিযোগ করে বলেন, রিজভী ছাড়া কেউ তার পরিবারের খোঁজ নেননি। দলের নেতাদের সহমর্মিতাবোধ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানও দলীয় কার্যক্রম নিয়ে কিছুটা ক্ষুব্ধ। বিগত দুই কাউন্সিলে দুইবার তার বদলে সালাউদ্দিন কাদের ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়। যারা একসময় অন্য দল করতেন। এ কারণে নোমান ক্ষুব্ধ।
এদিকে এম মোরশেদ খানের অভিযোগ, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানকে মনোনয়ন দিয়েছিলো বিএনপি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন মোরশেদ খান।