স্টাফ রিপোর্টারঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সাধারণ বন্ধুত্বের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহায়তা প্রদান থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে করোনা সংকটের মোকাবেলায় ভারত অকৃত্রিম বন্ধু হয়ে আমাদের পাশে আছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় একথা বলেন। ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটির কাছ থেকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্যে জীবন রক্ষাকারী এম্বুলেন্স গ্রহন উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আধুনিক জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি সম্বলিত এম্বুলেন্সটি জরুরী চিকিৎসা সেবা এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে রোগীদের মানসম্মত জরুরী সেবা এবং ট্রমা লাইফ সাপোর্ট এর জন্য উপযোগী। এম্বুলেন্সটি ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট এম্বুলেন্স সরবরাহের সামগ্রিক কর্মসূচীর অংশ-যা ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরের সময় ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন উপলক্ষে উপজেলার ১০১টি পূজা মন্ডপের অনুকুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলের চালের বরাদ্দপত্র এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এর ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম সামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোর পৌরসভার মেয়র ও পূজা উদযাপন পরিষদ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি উমা চৌধুরী জলি, পূজা উদযাপন পরিষদ নাটোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খগেন্দ্র নাথ রায় ও সিংড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মানসী ভট্রাচার্য, হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে শুধু স্বাধীন দেশ উপহার দেননি, অসাম্প্রদায়িক সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ৭১ এর পরাজিত শক্তি ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে নস্যাত করে দেশের উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এদেশের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে নিয়োজিত হয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ দ্রুত উন্নয়নের অভীস্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার মেধাবী নেতৃত্বের কারনেই বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এদেশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বাস করছে। সকলের ভ্রাতৃত্বপূর্ন অবস্থান এবং দেশের উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহনের ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
পলক আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ভারত এদেশের শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়েই নয়, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে দেশের স্বাধীনতাকে তরান্বিত করেছিল। কৃতজ্ঞ জাতি শ্রদ্ধায়-ভালবাসায় ভারতের সহযোগিতাকে স্মরণ করে। অকৃত্রিম বন্ধুত্বের এই চলমান ধারায় করোনা সংক্রমণকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে এসেছেন এবং এম্বুলেন্স, টিকা, অক্সিজেন দিয়ে এদেশের মানুষের জীবন বাঁচাতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন। ভবিষ্যতে সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।