নিজস্ব প্রতিবেদক
রিমঝিম বৃষ্টি। পল্লী গ্রাম। কাঁদা মাখা রাস্তা। খুব ধুমধাম নয়। ছোট পরিষরে চলছিলো বিয়ে বাড়ির আয়োজন। খাওয়াদাওয়া প্রায় শেষের দিকে। শুধু বাকি কনে আর বরের কবুল পড়া। সেই মুহুর্তেই বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে হাজির হলেন গুরুদাসপুরের ইউএনও মোঃ তমাল হোসেন।
পাকা রাস্তায় গাড়ি রেখে রিম ঝিম বৃষ্টির মধ্যে ঝোপ ঝাড় পেরিয়ে এক কিলো কাঁদা রাস্তা শেষে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন এই কর্মকর্তা। কেউ বুঝতেই পারেনি কে এই ব্যক্তি। বিয়ে বাড়ির লোকজনের খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই ব্যস্ত কনেকে সাজানোর কাজে। ঠিক তখনি কেউ একজন বুঝতে পেরেছে সাদা সার্ট কালো প্যান্ট পড়া যে ব্যক্তিটা দাড়িয়ে আছে সে আর কেউ না তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তখনি বিয়ে বাড়িতে থাকা লোকজন যে যার মত দৌড়ে পালায়।
পরে কনের বাবাকে ধরে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তার মেয়েকে যেন সে বিয়ে না দেয় সেই মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছাড়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকেলে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের সিধুলী গ্রামে। অপরদিকে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের চাপিলা এলাকায় এভাবেই আরো একটি বিয়ে বন্ধ করেন এই কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের সিধুলী গ্রামে ও চাপিলা ইউনিয়নের চাপিলা গ্রামের দুইটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। তাদের মেয়েদের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া হবে না মর্মে তার বাবাদের মুচলেকা নিয়ে ছাড়া হয়েছে।