নিজস্ব প্রতিবেদক:
১১ দফা দাবীতে রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন চলছে। তবে ধর্মঘট ডেকে সড়কে কোন মালিক বা শ্রমিকের নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি। আজ শুক্রবার ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে জনগনের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। নাটোর থেকে কোন ধরনের যাত্রীবাহী বাস না পেয়ে থ্রি হুইলার সহ বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় করে গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে তাদের। জরুরী প্রয়োজনেও তারা গন্তব্যে যেতে পারছেনা তারা। এক যাত্রী বলেন, জরুরী কাজে তিনি চট্টগ্রাম থেকে নাটোরে কাটা কাটা ভাবে এসেছেন, যাবেন রাজশাহী। কিন্তু কোন গাড়ি পাচ্ছেন না। কতক্ষনে রাজশাহীতে পৌঁছাবেরন বুঝতে পারছেন না। অপর এক যাত্রী জানালেন, তার বড় বোন মৃত্যু শয্যায়। তার সেখানে যাওয়া প্রয়োজন কিন্তু রাস্তাঘাটের যে অবস্থা কিভাবে যাবেন বুঝতে পারছেন না। আর এক যাত্রী ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার গাড়িতে বনপাড়া পর্যন্ত এসে কোনমতে নাটোর এসেছেন। রাজশাহী যেতে হলে আবার শহরের শেষ প্রান্ত থেকে কাটাকাট ভাবে যেতে হবে। এই যে ভোগান্তি আর বেশী টাকা খরচ এ্টা তারা প্রত্যাশা করেন না।
উল্লেখ্য গত ২৬ নভেম্বর রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধান করা সহ হাইকোর্টের নির্দেশানুযায়ী মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে থ্রি হুইলার ,সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা চলাচল বন্ধ ও জ্বালানি তেল সহ যন্ত্রাংশের মুল্য হ্রাস করা সহ ১১ দফা বান্তবায়নে পরিবহণ ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক পরিষদ।