নওগাঁর মহাদেবপুরে কুঠির শিল্পের বেহাল দশা। কুঠির শিল্পের সাথে জড়িত সদস্যরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।
উপজেলার শিশাহাট এলাকার মৃত জতিশ চন্দ্রের পুত্র কুঠির শিল্প ব্যবসায়ী রুবেল চন্দ্র ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে এ প্রতিবেদককে জানান, তার দোকানে ঝাড়, খৈচালা, কুলা, খাচা, মাতুল, ডালি, ভেরা, গোমাই, খলই, টোপা প্রভূতিসহ নানা বাঁশ জাতীয় পণ্য তৈরী করে বাজারে বিক্রয় করেন। প্রতিটি ঝাড়– ১০-১০০ টাকা, খৈচালা ২৫-২০০টাকা, মাতুল ২০০-৫০০টাকা, খলই ৮০-২৫০টাকা, কুলা ৩০-৮০টাকা দামে বিক্রয় করে থাকেন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধী করোনা ভাইরাস কালে তাদের বিক্রি খুবই কম। হাট বার ছাড়া বিক্রি নেই বললেই চলে। দোকানে কথা হয় উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের পলি পাড়া গ্রামের কাউছার আলীর সাথে তিনি জানান, অনেক দিন থেকে আসব আসব করে আশা হয়নি। অতিব প্রয়োজনে ৪টি ঝাড়– কিনতে এসেছি। প্রতিটির দাম ১০০ টাকা করে।
এ সময় জতিশ আরো জানান, সারা দিনে যা বিক্রি হয় তা দিয়ে দোকান খরচ হয়না। পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছি। এ পর্যন্ত তারা কোন সরকারি সহযোগীতা পাননি।
একই কথা জানান, উপজেলা সদরের কুঠির শিল্প ব্যবসায়ী আক্কাস আলী, জুয়েল হোসেন ও উজ্জল। তারা সকলেই বলেন তাদের বেচা কেনা খুব কম।
অপর দিকে কুঠির শিল্প বিষয়ে আদিবাসী নেতা ও সাংবাদিক অসিত দাস জানান, কুঠির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। করোনা কালীন সময়ে কুঠির শিল্পের সাথে জড়িত সদস্যরা কোন সহযোগীতা না পাওয়া দুঃখজনক। সরকারি ভাবে কুঠির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এর সাথে জড়িত সদস্যদের সহযোগীতা করে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার দাবী জানান।